1 Doctors with 3 Specialties
Founded in Oct, 1981
বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি মেডিকেল কলেজ। ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় এর ক্যাম্পাস এবং হসপিটালটি অবস্থিত। এটির পরিচালনাকারী সংস্থা বাংলাদেশ মেডিক্যাল স্টাডিস এন্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট। বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ ১০ মে ১৯৮৮ তারিখ হতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। কলেজটি পাঁচ বছর মেয়াদী ব্যাচেলর অফ মেডিসিন, ব্যাচেলর অফ সার্জারি (এমবিবিএস) ডিগ্রি কোর্স প্রদান করে। কলেজটি ৫০০ শয্যার বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাথে সংযুক্ত।
ইতিহাস
১৯৮৬ সালের ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন প্রয়াত অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী। প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মরহুম ডাঃ এএইচএম সামছুল হক। বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি মেডিকেল কলেজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৮৮ সালে এটিকে অধিভুক্তি প্রদান করে।
কোর্স
এমবিবিএস কোর্সের জন্য সম্মিলিত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা প্রতি বছর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর-এর তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৩ সালে ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ২ শত ১৭ জন শিক্ষার্থী এই প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশ নেয়।প্রতি বছর বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ১২০ জন দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়।
যোগ্য প্রার্থীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পান। বিভিন্ন দেশ থেকে বিদেশী ছাত্ররা যোগ্যতা অনুযায়ী DGHS এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় দ্বারা নির্বাচিত হয়।
কলেজটি বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল-এর পাঠ্যক্রম অনুসারে ৫-বছরের এমবিবিএস কোর্স পরিচালনা করে। একজন শিক্ষার্থী কোর্সের সময় শারীরস্থান, শারীরতত্ত্ব, প্রাণরসায়ন, রোগবিজ্ঞান, ঔষধবিজ্ঞান, অণুজীববিজ্ঞান, ফরেনসিক মেডিসিন, জনস্বাস্থ্য, চিকিৎসাবিজ্ঞান এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়, অস্ত্রোপচার, স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিজ্ঞান এবং ধাত্রীবিদ্যা অধ্যয়ন করে।
কোর্সটি ৪টি পর্বে বিভক্ত। প্রতি এক বছর পরপর একটি করে মোট চারটি পেশাগত পরীক্ষা হয় যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়। চতুর্থ বা চূড়ান্ত পেশাদার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে একজন শিক্ষার্থীকে এমবিবিএস ডিগ্রি প্রদান করা হয়। কোর্স কারিকুলামের শতাংশ সিস্টেম গ্রেডিং অনুসারে দেওয়া হয়। কলেজের অভ্যন্তরীণ ও পেশাগত পরীক্ষায় পাস নম্বর ৬০ শতাংশ। শিক্ষার্থীদের লিখিত (MCQ + SAQ + গঠনমূলক), মৌখিক, ব্যবহারিক এবং ক্লিনিকাল পরীক্ষা আলাদাভাবে পাস করতে হয়। স্নাতকের পর এক বছরের ইন্টার্নশিপ সকল স্নাতকের জন্য বাধ্যতামূলক। ডিগ্রিটি বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত।
